স্মার্টফোনে ছবি সম্পাদনার ৭টি অ্যাপ

স্মার্টফোনে ছবি সম্পাদনার ৭টি  অ্যাপ

আলোকচিত্র সম্পাদনা মানেই দরকার উন্নতমানের ডেস্কটপ কম্পিউটার—ব্যাপারটা এখন আর এমন নেই। ভালো ছবি তোলার পাশাপাশি স্মার্টফোনেই এখন সম্পাদনার কাজ বেশ ভালোভাবেই সেরে নেওয়া যায়। এ জন্য অ্যাপ স্টোরে বেশ কিছু অ্যাপ রয়েছে। স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম ভেদে জনপ্রিয় ৭ ছবি সম্পাদনার অ্যাপ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

 

অ্যাডোবি লাইটরুম-
অ্যাডোবির সফটওয়্যারগুলো উন্নতমানের পেশাদার কাজের জন্য বেশ জনপ্রিয়। জটিল সব কাজ করা যায় ফটোশপের মতো সফটওয়্যার দিয়ে। কিন্তু স্মার্টফোনের জন্য লাইটরুমে সেই জটিল বিষয়গুলো সহজ চেহারায় উপস্থাপন করেছে। তা ছাড়া অ্যাডোবির মূল প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে সিঙ্ক করার সুযোগ রয়েছে। সম্পাদনার মৌলিক কাজগুলো বিনা মূল্যেই করা যায়। তবে একাধিক যন্ত্রে সিঙ্কসহ প্রিমিয়াম সুবিধা পেতে প্রতি মাসে খরচ করতে হবে ১০ মার্কিন ডলার। অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর (apple.co/38ID4h1) এবং গুগলের প্লে স্টোর (bit.ly/2P9krLr) থেকে নামিয়ে ব্যবহার করা যাবে।

 

আফটার লাইট-
অ্যাপটিতে স্থিরচিত্র সম্পাদনার সব মৌলিক সুবিধা রয়েছে। আগে থেকেই ঠিক করে দেওয়া ফ্রেম ও ফিল্টার সুবিধাও পাওয়া যাবে। ছবিতে স্বতন্ত্র ভাব দেওয়ার জন্য নিজে থেকেই তৈরি করে নেওয়া যাবে ফিল্টার। ওভারলে, ডাবল এক্সপোজার সুবিধাও থাকছে অ্যাপটিতে। বিনা মূল্যে অ্যাপটি নামানো গেলেও বাড়তি সুবিধার জন্য অর্থ গুনতে হবে। অ্যাপ স্টোর থেকে নামানোর ঠিকানা: apple.co/38J3dfo।

 

স্ন্যাপসিড-
সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে পাওয়া গেলেও গুগলের এই অ্যাপ দিয়ে পেশাদার সম্পাদনা করা যায়। সম্পাদনার বিষয়গুলো নিজের পছন্দমতো ঠিক করা যায়। অ্যাপটির আরেকটি আকর্ষণীয় সুবিধা হলো সেলেকটিভ অ্যাডজাস্ট। অর্থাৎ ছবির কোনো নির্দিষ্ট জায়গা নির্বাচন করে পরিবর্তন করা যাবে উজ্জ্বলতা, কন্ট্রাস্ট, স্যাচুরেশন ইত্যাদি। তা ছাড়া ফটোশপের মতো একটি ছবির ওপর আরেকটি ছবি বসিয়ে লেয়ার তৈরি করেও সম্পাদনা করা যাবে। নামানোর ঠিকানা: snapseed.online।

 

ভিএসসিও-
অ্যাপটির সাহায্যে ছবি ধারণ করা যায় এবং সঙ্গে সঙ্গেই ফিল্টার যুক্ত করে সম্পাদনা করা যায়। বিনা মূল্যে বেশ কিছু ফিল্টারের পাশাপাশি মৌলিক সম্পাদনার টুল রয়েছে। অ্যাপটিতে প্রিসেট কেনার সুযোগও রয়েছে। যার সাহায্যে ছবিকে নতুন মাত্রা দেওয়া সম্ভব। ভিএসসিওতে রয়েছে কমিউনিটি সুবিধা। যেখানে পেশাদার ও নতুন শিল্পীদের মেলবন্ধন ঘটে। ভিএসসিও মেম্বারশিপের জন্য প্রতিবছর খরচ করতে হবে প্রায় ২০ ডলার। নামানোর ঠিকানা: vsco.co।

 

পিকসআর্ট-
অ্যাপটিতে নানা ধরনের ফিল্টারের পাশাপাশি ব্রাশ টুল রয়েছে, রয়েছে ছবিতে লেখা যুক্ত করার সুবিধা। অ্যাপটির সাহায্যে কোনো একটি ছবির কোনো অংশ কেটে তা অন্য ছবিতে যুক্ত করা যাবে। বিনা মূল্যে অ্যাপটি নামানো গেলেও সব সুবিধা পেতে বছরে গুনতে হবে ৪৭ দশমিক ৮৮ ডলার। নামানোর ঠিকানা: bit.ly/39LheJD।

 

ওভার-
আলোকচিত্র সম্পাদনার পাশাপাশি অ্যাপটির সাহায্যে গ্রাফিকস ডিজাইনের মৌলিক কিছু কাজ করা যায়। অ্যাপটিতে আগে থেকেই সীমিত পরিসরে ছবি, গ্রাফিকস ও ফন্ট আছে। তবে সব সুবিধার জন্য প্রতিবছরে লাগবে প্রায় ৫০ ডলার। নামানোর ঠিকানা: madewithover.com।

 

প্রিভিউ-
যাঁরা ইনস্টাগ্রাম নিয়মিত ব্যবহার করেন, তাঁদের এই অ্যাপটি বাড়তি সুবিধা দেবে। কারণ, ইনস্টাগ্রামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নকশা এতে রয়েছে। তা ছাড়া ব্লেমিশ স্মুদার, কালার ইনহ্যান্সার, ওভারলে, ফিল্টারসহ নানা সুবিধা রয়েছে। সম্পাদনা শেষ হলে অ্যাপটি থেকে ইনস্টাগ্রামের জন্য ছবিগুলোর ক্রম ঠিক করে সরাসরি আপলোড করা যাবে। তা ছাড়া ক্যাপশন লেখার সুবিধাও রয়েছে। প্রিমিয়াম সুবিধার জন্য প্রতি মাসে সাড়ে ১২ ডলার খরচ করতে হবে। নামানোর ঠিকানা: apple.co/2P6aTkk

 

 

 

 

 

 

সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো