মার্ক রিবুর একাত্তরের পঞ্চাশটি ছবি নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী

মার্ক রিবুর একাত্তরের পঞ্চাশটি ছবি নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী

আজ ১৬ অক্টোবর শনিবার বিকাল ৪টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে শুরু হবে মার্ক রিবুর একাত্তরের পঞ্চাশটি ছবি নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী Bangladesh 1971 : Mourning and Morning. বাংলাদেশের দুঃখ বিষাদ এবং নতুন প্রভাতের উদ্ভাসন, দুই- প্রত্যক্ষ করেছেন মার্ক রিবু। ৫০ বছর পর সেসব অদেখা ছবি উন্মোচিত হবে বাংলাদেশের মানুষের জন্য, ইতিহাসের আরেক উদ্ভাসন ঘটানো যে-প্রদর্শনী বহুদিক দিয়ে তাৎপর্যময়।

 

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের অংশ হিসেবে যৌথভাবে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকা। আয়োজনে সহায়তা করছে লা সেসিও লেসামি দ্য মাখ রিব্যো গিমে মিউজিয়াম।

 

প্রদর্শনী উদ্বোধন করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী . কে আব্দুল মোমেন। আরও উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত জ্যঁ মারাসহ জাদুঘরের ট্রাস্টিরা।

 

মার্ক রিবু জগদ্বিখ্যাত আলোকচিত্রশিল্পী, তিনি মামুলি যুদ্ধ-চিত্রগ্রাহক নন, সংঘাতের নাটকীয় ছবি তোলার চেয়ে তার বেশি আগ্রহ দুঃসময়ে মানুষের বেদনা-কষ্ট-বিষাদ মানবিক সংগ্রামের ছবি তোলায়। পঞ্চাশের দশক থেকে শুরু হয়েছে ক্যামেরা হাতে তার এই অভিযাত্রা, যা তাকে নিয়ে গেছে চীনে, ভিয়েতনামে, আলজেরিয়ায়, কিউবায়, ভারতে, পাকিস্তানে, মধ্যপ্রাচ্যে, ইংল্যান্ডে, আমেরিকায় আরও নানা দেশে।

 

মার্ক রিবুর জন্ম সাঁ-জেনি-লাভালে, ১৯২৩ সালে। ১৪তম জন্মদিনে বাবার কাছ থেকে উপহার হিসেবে তিনি পেয়েছিলেন ছোট্ট ভেস্ট পকেট কোডাক ক্যামেরা। সেটি দিয়েই তিনি শুরু করেন কাজ। ১৯৪৪ সালে হানাদার নাজি বাহিনীর বিরুদ্ধে ভেখকোর প্রতিরোধযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। ১৯৪৫ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত তিনি লিঁওর ইকোল সনথ্রালে প্রকৌশলবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেন এবং প্রকৌশলী হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিন বছর পরই পেশা পরিবর্তন করেন, হয়ে যান আলোকচিত্রী।

 

 

তাঁর ছবি পেয়েছে বহু সম্মাননা। প্রদর্শিত হয়েছে প্যারিস, নিউইয়র্ক, সাংহাই টোকিওর মতো বড় বড় শহরের নামীদামি জাদুঘর গ্যালারিতে। মার্ক রিবু ২০১৬ সালে ৯৩ বছর বয়সে প্যারিসে মারা যান।

 

 

প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রদর্শনী খোলা থাকবে। রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত।

 

ছবিঃ সংগৃহীত