১৫ বছর পূর্তিতে গ্যালারি কায়ায় বিশেষ প্রদর্শনী

১৫ বছর পূর্তিতে গ্যালারি কায়ায় বিশেষ প্রদর্শনী

নীরবে নিভৃতে শিল্পের প্রসারে কাজ করে যাওয়া গ্যালারি কায়া ১৫ বছরে পা রাখল। প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালের ২৮ মে। এরপর কেটে গেছে দেড় দশক। উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের ১৬ নম্বর সড়কের ২০ নম্বর বাড়িতে নিরিবিলি পরিবেশে নিত্যনতুন প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে গ্যালারি কায়া। এর মধ্যেই এ গ্যালারি হয়ে উঠেছে শিল্পপ্রেমী আর শিল্পবোদ্ধাদের পছন্দের গন্তব্যস্থলে।

 

১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার উত্তরায় গ্যালারি কায়া প্রাঙ্গণে দেশের নবীন-প্রবীণ শিল্পী, বুদ্ধিজীবীদের মিলনমেলা বসেছিল। এ ছাড়া শুরু হয়েছে বিশেষ যৌথ প্রদর্শনী। বাংলাদেশ ও ভারতের খ্যাতনামা ৪৩ জন আধুনিক ও সমসাময়িক শিল্পীর ৭২টি সৃজনকর্ম স্থান পেয়েছে এ প্রদর্শনীতে, যা চলবে ২০ জুলাই পর্যন্ত। কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছিল না, শিল্পী, শিল্প সংগ্রাহক ও দর্শক মিলে উদ্বোধন করেন প্রদর্শনী।

 

 

দর্শক দেখতে পাচ্ছেন বাংলাদেশের শফিউদ্দিন আহমেদ, আমিনুল ইসলাম, মুর্তজা বশীরের মতো শিল্পীদের কাজ। দেখা যাচ্ছে ভারতের মকবুল ফিদা হুসেন, গণেশ হালুই, কে জি সুব্রামানিয়ামের কাজও।

 

 

প্রদর্শনীতে সবচেয়ে পুরনো কাজটি শিল্পী আমিনুল ইসলামের। ২০১১ সালে না ফেরার দেশে চলে যাওয়া বরেণ্য এ শিল্পীর কাজটি ১৯৫৭ সালের। অর্ধশত বছরের পুরনো এ ছবিটি প্যাস্টেল রঙে আঁকা, যা যুক্তরাষ্ট্রের একজন শিল্প সংগ্রাহকের কাছ থেকে সংগৃহীত। শফিউদ্দীন আহমেদের ১৯৯৮ সালের একটি ড্রয়িং রয়েছে প্রদর্শনীতে। সেটিও যুক্তরাষ্ট্র থেকেই একজনের ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে প্রদর্শনী উপলক্ষে নিয়ে আসা হয়েছে। আরেক বরেণ্য শিল্পী দেবদাস চক্রবর্তীর কাজটি ১৯৯৬ সালের। ‘কমপজিশন’ শিরোনামের ছবিটি তেলরঙে আঁকা।

 

 

ভারতের বরেণ্য শিল্পী কে জি সুব্রামানিয়ামের ‘শিরোনামহীন’ চিত্রকর্মটি ২০০৯ সালের। একজন নারীর বাহ্যিক ও অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য শিল্পী চমৎকারভাবে তুলে এনেছেন। মকবুল ফিদা হুসেনের ২০০৩ সালের কাজ ‘ইটারনাল মাদার’-এ দারুণভাবে শাশ্বত হয়েছেন মাদার তেরেসা। মাদার তেরেসাকে নিয়ে বাংলাদেশের দুই শিল্পী রণজিৎ দাস ও গৌতম চক্রবর্তীর কাজ দুটিও চমৎকার।

 

 

প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী অন্য শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন—আহমেদ শামসুদ্দোহা, আদিত্য বসাক, অজিত স্যানাল, আলপ্তগিন তুষার, অভিতাভ ব্যানার্জি, আনিসুজ্জামান, আশরাফুল হাসান, অতিন বসাক, চন্দ্র শেখর দে, দেবদাস চক্রবর্তী, দীপা হক, হামিদুজ্জামান খান, হাশেম খান, হাসি চক্রবর্তী, জামাল আহমেদ, কামালউদ্দিন, কনকচাঁপা চাকমা, লালু প্রসাদ শ, মাকসুদা ইকবাল নিপা, মোহাম্মদ ইউনুস, মোহাম্মদ ইকবাল, কাইয়ূম চৌধুরী, রবিন মণ্ডল, রফিকুন নবী, রতন মজুমদার, সমরজিৎ রায় চৌধুরী, সনৎ কর, এস এইচ রাজা, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, শাহানূর মামুন, শেখ আফজাল হোসেন, শিশির ভট্টাচার্য, সোহাগ পারভেজ, সুহাস রায় ও তরুণ ঘোষ।

 

 

প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

 

 

 

 

 

 

সূত্রঃ দৈনিক কালের কন্ঠ

ছবিঃ সংগৃহীত