অসম্ভব ক্লিকের ছবি নিয়ে কার্নিভ্যাল

অসম্ভব ক্লিকের ছবি নিয়ে কার্নিভ্যাল

প্রত্যেকটা ছবি বহন করে আলাদা অর্থ। এক একটা ছবি জানিয়ে দেয় জীবনের হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ। দেখিয়ে দেয় জীবনের জানা-অজানা বিষয়। হোক সে বিষয়গুলো দেয়ালে টাঙানো কিংবা কল্পনায় আঁকা।
গতকাল শুক্রবার এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে (এইউডব্লিউ) শুরু হওয়া ফটো কার্নিভ্যালে প্রথম দিনের প্রদর্শনীতে গিয়ে এমনটাই মনে হলো।


এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়-য়া ১৬টি দেশের শিক্ষার্থী আলোকচিত্রীদের সংগঠন ‘এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন ফটোগ্রাফি ক্লাবের’ (এইউডব্লিউপিসি) উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের এই আলোকচিত্র উৎসব।
৫ম বারের মতো আয়োজিত এই কার্নিভ্যালে প্রতিযোগিতার বিষয়বস’ নির্ধারিত হয়েছে ‘ইম্পসিবল’ (অসম্ভব)। এতে অসম্ভব ক্লিকের এমন সব ছবি আহ্বান করা হয়েছিল, যা হাজারো বার্তা তুলে ধরতে সক্ষম। আয়োজনে জমা পড়া দুই হাজার ছবির মধ্য থেকে প্রদর্শনীর জন্য মনোনীত হয়েছে ৫৫টি ছবি।


কার্নিভ্যালে কথা হয় এক প্রতিযোগীর সাথে। এইউডব্লিউ’র অর্থনীতির এ ছাত্রী মাশিয়াত শরীফ জানালেন, ‘গত নভেম্বরে ইউনিভার্সিটি থেকে ট্যুরে গিয়েছিলাম কলকাতায়। আসার সময় ফ্লাইট মিস হওয়ার ভয়ে তাড়াতাড়ি করে এয়ারপোর্টে প্রবেশ করার সময় পিছনে ফিরে দেখি বান্ধবী একা দরজার দাঁড়িয়ে আছে। পাশের চারটি কাঁচের গ্লাসেও দেখা যাচ্ছে ওকে। দেখে সাথে সাথে আইফোন দিয়ে ছবিটা তুলে ফেলি। নিজের ইউনিভার্সিটির কার্নিভ্যালে এই ছবি স্থান পাওয়ায় আমার বেশ ভালো লাগছে।’


শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন আইইউবি’র বিবিএ’র ছাত্র মো. জাকির হোসেন রানা। সেখানে ঘুরাঘুরির এক পর্যায়ে দেখতে পান পাহাড়ের উপর একটা ছেলে লাঠি দিয়ে গরুর সাথে খেলা করছে। ‘মুহূর্তটা আমি মিস করতে চাইনি। সাথে ক্যামেরা ছিল। তাই ছবিটা তুলে রেখেছি। এ বছরে ফটো কার্নিভ্যালের খবর শুনে “ছিরফুল” শিরোনামে ছবিটা জমা দিয়েছি। ছবিটি স্থান পেয়েছে কার্নিভ্যালে। আন্তর্জাতিক উৎসবে নিজের ছবি স্থান পেয়েছে বলে খুব খুশি লাগছে।’ এটি ছাড়াও আরো দুইটি ছবি এবারের কার্নিভ্যালে স্থান পেয়েছে বলে জানান সুপ্রভাতকে জানান রানা।


গতকাল ফটো কার্নিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এইউডব্লিউ’র উপাচার্য নির্মালা রাও বলেন, ‘এবারের প্রদর্শনীটা একটু আলাদা। অনেক ভালো ভালো ছবি আসছে। আশা করি প্রতিযোগীরা ভালো ফিডবেক পাবেন।’ এছাড়াও এ কার্নিভ্যালটা নিয়মিত করা হবে বলে জানান তিনি।


আয়োজক প্রতিষ্ঠান এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন ফটোগ্রাফি ক্লাবের (এইউডব্লিউপিসি) জনসংযোগ বিভাগের প্রধান সাদিয়া চৌধুরী জানান, ‘গতবারের মতো এবারও আমরা সবাইকে সুযোগ দিতে চেয়েছি। তাই এবারও ছবির জমা দেয়ার জন্য কোনো ফি নেওয়া হয়নি। এবার প্রায় দুই হাজার ছবি জমা পড়ে। সেখানে থেকে বিচারকেরা ৫৫টি ছবি প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচিত করেন। যার মধ্যে ৫ জন বিদেশী প্রতিযোগী ছিল।’


কার্নিভ্যালে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দেশের জনপ্রিয় আলোকচিত্রী মিশুক আশরাফুল আওয়াল, জান্নাতুর মাওয়া ও তানভির মুরাদ তপু। এছাড়া নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ফটোগ্রাফি ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ইসলামি ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি ফটোগ্রাফি সোসাইটি প্রেজেন্টেশন প্রদর্শনী করছে।

 

Source: https://goo.gl/9Q41jl